"পরকাল বলতে কিছুই নাই, মানুষ মরে গেলে মাটির সঙ্গে মিশে যায়" - বলেছিলেন হুমায়ূন আহমেদ।
.
এখানেই শেষ নয়!
বলেছিলো- "মৃত্যুর পর মানুষকে দাঁড় করিয়ে কবর দেওয়া উচিত, এতে জায়গা কম লাগবে"
.
হুমায়ূন এবং তার বন্ধুর একটি কাহিনী শেয়ার করেছিলাম যেখানে নামাজ নিয়ে তিনি বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলো। সাহিত্য প্রেমী হিমু সম্প্রদায় তা দেখে হুমায়ূন আহমেদেকে একজন ধার্মিক পরহেজগার ব্যাক্তি দাবি করলেন....
.
১৯৯৮ সালের ১৩ নভেম্বর দৈনিক প্রথম আলোর সঙ্গে এক সাক্ষাতকারে হুমায়ুন আহমেদ বলেছিলেন, “সামনের যে আধুনিক পৃথিবী আসবে সে হবে ঈশ্বর মুক্ত পৃথিবী”!
.
অর্থাৎ, সৃষ্টিকর্তা বলতে কিছুই নেই/থাকবেনা....
.
এই সাক্ষাৎকারে তিনি আরও বলেছিলেন- “ঈশ্বর মুক্ত পৃথিবী মানে মানুষ নিজেই অসম্বভ শক্তিশালী। মানুষ সব কিছুই করতে পারে, বিজ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে”
.
উনি যদি ধার্মিকই হবেন তাহলে আমার প্রশ্ন, হুমায়ুন আহমেদ “তোমাদের এই নগরে” উপন্যাসে একজন নাপিতের নাম কেন “নেকমর্দ” রেখেছিলেন?
.
'নেকমর্দ' শব্দটি ইসলামী পরিভাষায় একজন পরহেজগার ও সৎ লোককে বোঝায় তা কি তিনি জানতেন না??
.
যাহোক,
একই উপন্যাসের অন্য এক জায়গায় লিখেছিলেন, “আপনি তো স্যার মুটামুটি ঈশ্বর এর কাছাকছি চলে গেছেন, ঈশ্বর যেমন সব জানেন আপনিও তেমন সব জানেন”
.
তার আরেক উপন্যাস ‘নবনী’ তে বেহেশত এবং ধর্মীয় পোশাক পাঞ্জাবী পায়জামা কে নিয়েও কিছু সুস্পষ্ট কটাক্ষ রয়েছে।
.
এটাই কি একজন ধর্ম প্রেমী লেখকের নমুনা?!!?
.
যদি তা-ই হয় তবে এটিকে সাহিত্যিক হুমায়ুনের “আস্তিকতার বর্ম পরে নাস্তিকতা রপ্ত করা” বলতেই হয়....!!
.
হুমায়ূন আহমেদ আজ নেই। তিনি আজ শুধুই খোলস মাত্র। আমরা বাঙালিরা এখন খোলস নিয়েই নাচানাচি করি।
.
নিরপেক্ষ দৃষ্টিতে দেখলে হুমায়ুন আহমেদের 'জোছনা ও জননীর গল্প', 'মধ্যাহ্ন' কিংবা 'শঙ্খনীল কারাগার' কিছুটা সাফল্যের দাবিদার হলেও উনার অধিকাংশ উপন্যাসেই সাহিত্য বলে কিছু নেই।
.
প্রশ্ন চলে আসে, তো উনি কেন এত জনপ্রিয়??
.
কিজানে, বাজার কাটতির জন্য বছরে গোটা দশেক উপন্যাস লিখলে সেই লিখাগুলো মানহীন হলেও পড়তে সহজ হওয়াতে বই প্রিয় মানুষ তা গিলে খায় বলেই হয়তো.....
.
কিন্তু, এটিতেই শান্ত নই আমরা বাঙালিরা.....
.
আখিরাতে অবিশ্বাসী এই ব্যাক্তির জন্য মজনু হওয়া ১৮+ ছেলে মেয়েরা আজকাল নিজেকেই ভিন্ন রঙ্গে সাজায়...!!
.
কেউবা পকেট ছাড়া হলুদ পাঞ্জাবী, অথবা পাতলা শাড়ি পরে ছাতা ছাড়া বৃষ্টিতে হেটে অথবা সপ্তাহে ২ দিন নিরামিষ খেয়ে কথিত "হিমু" সেজে ঘুরে বেড়ায় তারা........
.
আবার কখনো কখনো হয়ে যাচ্ছে নতুন কোনো "ঘেটু পুত্র কমলা"
.
এক সময়ের সাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ হয়তো অনেকের কাছেই প্রিয়। তার সাহিত্য নিয়ে কটু মন্তব্য করা আমার শোভা না পেলেও, একজন মুসলমান হিসেবে তার লিখায় আমি শিক্ষনীয় কিছুই খুঁজে পাইনি আজও...
.
তার নাটক/উপন্যাস দর্শককে আনন্দ দিয়েছে ঠিকই...
.
তবে, তার সাথে সাথে যুব সমাজকে ছুড়ে ফেলেছে ধ্বংসের শেষ কিনারায়..
.
এখানেই শেষ নয়!
বলেছিলো- "মৃত্যুর পর মানুষকে দাঁড় করিয়ে কবর দেওয়া উচিত, এতে জায়গা কম লাগবে"
.
হুমায়ূন এবং তার বন্ধুর একটি কাহিনী শেয়ার করেছিলাম যেখানে নামাজ নিয়ে তিনি বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলো। সাহিত্য প্রেমী হিমু সম্প্রদায় তা দেখে হুমায়ূন আহমেদেকে একজন ধার্মিক পরহেজগার ব্যাক্তি দাবি করলেন....
.
১৯৯৮ সালের ১৩ নভেম্বর দৈনিক প্রথম আলোর সঙ্গে এক সাক্ষাতকারে হুমায়ুন আহমেদ বলেছিলেন, “সামনের যে আধুনিক পৃথিবী আসবে সে হবে ঈশ্বর মুক্ত পৃথিবী”!
.
অর্থাৎ, সৃষ্টিকর্তা বলতে কিছুই নেই/থাকবেনা....
.
এই সাক্ষাৎকারে তিনি আরও বলেছিলেন- “ঈশ্বর মুক্ত পৃথিবী মানে মানুষ নিজেই অসম্বভ শক্তিশালী। মানুষ সব কিছুই করতে পারে, বিজ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে”
.
উনি যদি ধার্মিকই হবেন তাহলে আমার প্রশ্ন, হুমায়ুন আহমেদ “তোমাদের এই নগরে” উপন্যাসে একজন নাপিতের নাম কেন “নেকমর্দ” রেখেছিলেন?
.
'নেকমর্দ' শব্দটি ইসলামী পরিভাষায় একজন পরহেজগার ও সৎ লোককে বোঝায় তা কি তিনি জানতেন না??
.
যাহোক,
একই উপন্যাসের অন্য এক জায়গায় লিখেছিলেন, “আপনি তো স্যার মুটামুটি ঈশ্বর এর কাছাকছি চলে গেছেন, ঈশ্বর যেমন সব জানেন আপনিও তেমন সব জানেন”
.
তার আরেক উপন্যাস ‘নবনী’ তে বেহেশত এবং ধর্মীয় পোশাক পাঞ্জাবী পায়জামা কে নিয়েও কিছু সুস্পষ্ট কটাক্ষ রয়েছে।
.
এটাই কি একজন ধর্ম প্রেমী লেখকের নমুনা?!!?
.
যদি তা-ই হয় তবে এটিকে সাহিত্যিক হুমায়ুনের “আস্তিকতার বর্ম পরে নাস্তিকতা রপ্ত করা” বলতেই হয়....!!
.
হুমায়ূন আহমেদ আজ নেই। তিনি আজ শুধুই খোলস মাত্র। আমরা বাঙালিরা এখন খোলস নিয়েই নাচানাচি করি।
.
নিরপেক্ষ দৃষ্টিতে দেখলে হুমায়ুন আহমেদের 'জোছনা ও জননীর গল্প', 'মধ্যাহ্ন' কিংবা 'শঙ্খনীল কারাগার' কিছুটা সাফল্যের দাবিদার হলেও উনার অধিকাংশ উপন্যাসেই সাহিত্য বলে কিছু নেই।
.
প্রশ্ন চলে আসে, তো উনি কেন এত জনপ্রিয়??
.
কিজানে, বাজার কাটতির জন্য বছরে গোটা দশেক উপন্যাস লিখলে সেই লিখাগুলো মানহীন হলেও পড়তে সহজ হওয়াতে বই প্রিয় মানুষ তা গিলে খায় বলেই হয়তো.....
.
কিন্তু, এটিতেই শান্ত নই আমরা বাঙালিরা.....
.
আখিরাতে অবিশ্বাসী এই ব্যাক্তির জন্য মজনু হওয়া ১৮+ ছেলে মেয়েরা আজকাল নিজেকেই ভিন্ন রঙ্গে সাজায়...!!
.
কেউবা পকেট ছাড়া হলুদ পাঞ্জাবী, অথবা পাতলা শাড়ি পরে ছাতা ছাড়া বৃষ্টিতে হেটে অথবা সপ্তাহে ২ দিন নিরামিষ খেয়ে কথিত "হিমু" সেজে ঘুরে বেড়ায় তারা........
.
আবার কখনো কখনো হয়ে যাচ্ছে নতুন কোনো "ঘেটু পুত্র কমলা"
.
এক সময়ের সাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ হয়তো অনেকের কাছেই প্রিয়। তার সাহিত্য নিয়ে কটু মন্তব্য করা আমার শোভা না পেলেও, একজন মুসলমান হিসেবে তার লিখায় আমি শিক্ষনীয় কিছুই খুঁজে পাইনি আজও...
.
তার নাটক/উপন্যাস দর্শককে আনন্দ দিয়েছে ঠিকই...
.
তবে, তার সাথে সাথে যুব সমাজকে ছুড়ে ফেলেছে ধ্বংসের শেষ কিনারায়..
No comments:
Post a Comment
Thanks for comment stay with us.