🚢 বিএসসি’র নতুন জাহাজে সমুদ্রপথে পণ্য পরিবহনে নতুন দিগন্ত
বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন (বিএসসি) তাদের বহরে নতুন দুটি জাহাজ যুক্ত করছে। জানুন কবে আসছে জাহাজগুলো, অর্থনীতি ও কর্মসংস্থানে এর প্রভাব এবং সরকারি–বেসরকারি খাতের বর্তমান অবস্থা।
বিএসসি’র বহরে আসছে নতুন জাহাজ
বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন (বিএসসি) শিগগিরই তাদের বহরে দুটি নতুন বাল্ক জাহাজ যুক্ত করতে যাচ্ছে। একটি সেপ্টেম্বর এবং আরেকটি নভেম্বরের শেষে বহরে যোগ হবে। প্রতিটি জাহাজের পরিবহন সক্ষমতা ৫৫ থেকে ৬০ হাজার টন।
এই দুটি জাহাজ যুক্ত হলে বিএসসি’র বহরে মোট জাহাজের সংখ্যা দাঁড়াবে সাতটিতে।
অর্থনীতি ও কর্মসংস্থানে প্রভাব
নতুন জাহাজগুলোর মাধ্যমে:
-
বছরে আনুমানিক ১৫০ কোটি টাকা আয় বাড়বে
-
প্রায় ১৫০ নাবিকের কর্মসংস্থান তৈরি হবে
-
আমদানি–রপ্তানিতে বিদেশি জাহাজের ওপর নির্ভরশীলতা কমবে
-
বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হবে
দ্রুত কেনার কৌশল
প্রথাগতভাবে নতুন জাহাজ বানাতে হলে তিন বছর সময় লাগত। কিন্তু নির্মাণাধীন জাহাজ প্রতিযোগিতামূলক দরপত্রে কিনে বিএসসি মাত্র ছয় মাসে বহর সমৃদ্ধ করছে।
এই জাহাজগুলো যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক হেলেনিক ড্রাই বাল্ক ভেঞ্চারস এলএলসি সরবরাহ করছে, আর নির্মাণ করছে চীনের নেন ইয়াং শিপইয়ার্ড।
সরকারি বনাম বেসরকারি খাতের তুলনা
১৯৭২ সালে বিএসসি ‘এমভি বাংলার দূত’ দিয়ে যাত্রা শুরু করলেও বর্তমানে সরকারি খাত অনেক পিছিয়ে।
-
বর্তমানে দেশে সমুদ্রপথে চলাচলকারী মোট জাহাজ: ১০০টি
-
সরকারি বিএসসি’র জাহাজ: ৫টি (শিগগিরই ৭টি হবে)
-
বেসরকারি খাতের জাহাজ: ৯৫টি
-
প্রধান বেসরকারি মালিকানা:
-
কেএসআরএম গ্রুপ → ২৮টি জাহাজ
-
মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ (এমজিআই) → ২৫টি
-
আকিজ গ্রুপ → ১০টি
কেন নতুন জাহাজ দরকার
বাংলাদেশের আমদানি–রপ্তানির বড় অংশই সমুদ্রপথে সম্পন্ন হয়। গত অর্থবছরে কেবল চট্টগ্রাম বন্দর দিয়েই প্রায় ১৩ কোটি টন পণ্য পরিবহন হয়েছে।
নিজস্ব জাহাজের সংখ্যা বাড়ালে:
✔ বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হবে
✔ দেশি নাবিকদের কর্মসংস্থান বাড়বে
✔ নতুন প্রজন্ম প্রশিক্ষণের সুযোগ পাবে
✔ আমদানি–রপ্তানিতে স্বনির্ভরতা আসবে
উপসংহার
বিএসসি’র বহরে নতুন দুটি জাহাজ যুক্ত হওয়া বাংলাদেশের সমুদ্রপথে পণ্য পরিবহনে একটি বড় অগ্রগতি। যদিও বেসরকারি খাত অনেক এগিয়ে, তবে সরকারি উদ্যোগ এই শিল্পকে শক্তিশালী করবে এবং দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
No comments:
Post a Comment
Thanks for comment stay with us.