🌍 জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা এবং ক্রমবর্ধমান জ্বালানির চাহিদা পূরণের বিকল্প হিসেবে পারমাণবিক শক্তিকে এখন নিরাপদ, পরিচ্ছন্ন ও টেকসই সমাধান হিসেবে দেখা হচ্ছে।
ওয়ার্ল্ড নিউক্লিয়ার অ্যাসোসিয়েশনের প্রকাশিত সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সারা বিশ্বে পারমাণবিক বিদ্যুতের ব্যবহার দ্রুত বাড়ছে। শুধু ২০২৪ সালেই বিশ্বব্যাপী প্রায় ৪৪০টি পারমাণবিক চুল্লি থেকে ২,৬৬৭ টেরাওয়াট–ঘণ্টা বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয়েছে, যা বিশ্বের মোট বিদ্যুৎ চাহিদার প্রায় ৯ শতাংশ পূরণ করেছে।
🌟 রেকর্ড উৎপাদন
ওয়ার্ল্ড নিউক্লিয়ার অ্যাসোসিয়েশনের মহাপরিচালক সামা বিলবাও ই লিওন জানিয়েছেন, ২০২৪ সালে পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদনে নতুন রেকর্ড হয়েছে। তাঁর মতে, এটি প্রমাণ করে পারমাণবিক শিল্প এগিয়ে যাচ্ছে এবং জলবায়ু সুরক্ষায় এই রেকর্ড প্রতিবছর আরও বিস্তৃত আকারে এগিয়ে নিতে হবে।
🔎 এশিয়ায় দ্রুত প্রসার
গত এক দশকে বিশ্বব্যাপী চালু হওয়া ৬৮টি নতুন চুল্লির মধ্যে ৫৬টি এশিয়ার বিভিন্ন দেশে নির্মিত হয়েছে। বর্তমানে নির্মাণাধীন ৭০টি চুল্লির মধ্যে ৫৯টিও এশিয়ায় অবস্থিত। এই পরিসংখ্যান ইঙ্গিত দিচ্ছে, ভবিষ্যতে বিদ্যুৎ উৎপাদনের গতি আরও বাড়বে এবং এশিয়া হবে এই খাতের প্রধান কেন্দ্র।
⚡ জ্বালানির চিত্র
ওয়ার্ল্ড নিউক্লিয়ার অ্যাসোসিয়েশনের তথ্যমতে, এখনো বিশ্বব্যাপী বিদ্যুৎ উৎপাদনের সবচেয়ে বড় উৎস হলো কয়লা ও গ্যাস। তবে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র কোনো গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন না করায় একে পরিচ্ছন্ন শক্তি উৎস হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
🌱 বিতর্ক ও চ্যালেঞ্জ
পরিবেশবাদী সংগঠন ফ্রেন্ডস অফ দ্য আর্থ বলছে, পারমাণবিক শক্তি জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় ধীর এবং ব্যয়বহুল সমাধান। এছাড়া তেজস্ক্রিয় বর্জ্য মানুষ ও বন্যপ্রাণীর জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। তবুও জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরতা কমাতে এবং কার্বন নির্গমন সীমিত করতে অনেক দেশ এখন পারমাণবিক শক্তির দিকে ঝুঁকছে।
সূত্র: ডেইলি মেইল

No comments:
Post a Comment
Thanks for comment stay with us.