নব্য ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের অভিনন্দন এবং শুভেচ্ছা!
আশাকরি তোমরা ভালো আছ। তোমরা তোমাদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য র্জনের পথে আরেকটা মাইল ফলক অর্জন করলা।
অনেকে ইতোমধ্যে পরবর্তী মাইল ফলকের জন্য কাজ শুরু করে দিয়েছ। আবার অনেকে মাইল ফলক কী হতে পারে তাই বুঝতে পারছো না। যারা এখনো দ্বিধাদ্বন্দে আছে তাঁদের জন্য কিছু লিখার চেষ্টা করছি।
তোমাদের পরবর্তী লক্ষ্য হতে পারেঃ
- বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং (ডুয়েট)
- সরকারি চাকু্রী
- প্রাইভেট চাকুরী
- বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং(প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়)
- বিদেশে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং অথবা
- উদ্যোক্তা হওয়া
আমি ১, ২ এবং ৩ নম্বর পয়েন্ট নিয়ে লিখার চেষ্টা করবো
প্রথমেই আসি ৩ নম্বর পয়েন্টে। যদি তোমাকে এখনই ফ্যামিলির হাল ধরা লাগে তাবেই এখন প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানে জয়েন করো না। কেনো জয়েন করতে নিরুৎসাহিত করছি নিশ্চয় বুঝতে পেরেছ।
এবার আসি ১ এবং ২ নম্বর পয়েন্টে। সবচেয়ে আলোচিত প্রশ্নের একটা ডুয়েট নাকি সরকারি চাকুরি। এই প্রশ্ন এক কথায় উত্তর দেওয়া কঠিন। তবে এভাবে ভাবলে সহজেই সমস্যার সমাধান পাওয়া যাবে। আচ্ছা চাকুরির পরীক্ষায় কী আসে? ডুয়েট এডমিশন টেস্টে কী আসে? উত্তর হচ্ছে আমরা যা পড়েছি, আমরা যা পড়ছি তাই আসে।
তাহলতো পরীক্ষা দিলেই ডুয়েটে চান্স বা জব হয়ে যাবে! তাই না?
কিন্তু কোন এককালে পড়লেইতো আর আমরা পরীক্ষায় লিখে আসতে পারবো না। প্রয়োজন আবার ঝালায় ক। আসেন দেখি কীভাবে ঝালায় করা যায়।
আমার জানামতে সবচেয়ে ভালো ঝালায় হয় ডুয়েট এডমিশন টেস্টের প্রস্তুতি নিলে। যদি ডুয়েট এডমিশন টেস্টের জন্য প্রস্তুতি নাও তাহলে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো এমনভাবে ঝালায় হবে তুমি তা কল্পনাও করতে পারবা না। কেনো ঝালায় হয় , কীভাবে ঝালায় হয় যারা প্রস্তুতি নিয়েছে বা নিচ্ছে তাদের জিজ্ঞেস করলে বুঝতে পারবা।
প্রশ্ন করতে পারো আমি কেনো জবের আগে ডুয়েট এডমিশনের কথা বলছি। তোমরা যারা এবার ডিপ্লোমা পাস করলা তাদের বয়স ২০/২১। তোমার জবের প্রস্তুতির অনেক সময় পাবা কিন্তু এখন এডমিশন টেস্ট না দিলে পরে মন চাইলেই আর সুযোগ পাবা না। আর এডমিশন টেস্টে ভালোভাবে পড়লে চান্স না হলেও চাকুরির প্রস্তুতিও হয়ে যাবে।
সাবধানতাঃ
১। শর্ট কোর্সে কখনও চাকুরির পরীক্ষার কথা চিন্তা করা যাবে না। চাকুরি , এডমিশন টেস্ট দুইটা নিয়ে একসাথে দৌড়ালে গণ্ডগোল বাধবে। চিন্তা করো না তুমি চাকুরির বিষয় চিন্তা না করলেও প্রস্তুতি অনেকটা আগায়ে যাবে।
২। তোমাদের ফলাফল প্রকাশ হওয়ার সাথে সাথেই বেশকিছু শুভাকাঙ্খী দেখতে পাচ্ছ। শুভকামনা জানালেও সবাই কিন্তু শুভাকাঙ্খী না। সাবধান হয়ে যাও।
মনে রেখ কোচিং ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। আর কোচিংএর ভাইয়েরা ব্যবসায়ী তাই কোচিং ব্যবসায়ীক সার্থ আগে দেখবে। তাই সবাই তাদের কোচিঙ্গে ভর্তির জন্য যুক্তি দেখাবে।
করোনা আমাদের অনেককিছু কেড়ে নিয়ে গেছে অনলাইন হাটবাজার। জামা কাপড় যেমন বিক্রি হচ্ছে তেমন শিক্ষাও(শীট, লেকচারও ) বিক্রি হচ্ছে! অনলাইন অফলাইন সব যায়গায় ভর্তি হওয়ার ব্যাপারে সতর্ক হও।
আর অনলাইন এখনো অফলাইনের বিকল্প হতে পারেনি। যদি সম্ভব হয় গাজীপুর/ঢাকা গিয়ে শেখার চেষ্টা কর।
শেষ কথা, তুমি তোমার বিষয়ে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিবা। তুমি তোমার অবস্থা, তোমার পারিবারিক অবস্থা সব মিলে তোমার জন্য যেটা ভালো মনে হয় সেভাবে সিদ্ধান্ত নিবা। সিদ্ধান্ত নিতে গিয়ে সমস্যায় পড়লে তুমি তোমার কাছের বড় ভাইয়ের সাহায্য নিতে পারো।
No comments:
Post a Comment
Thanks for comment stay with us.